সলঙ্গা প্রতিনিধি –
সিরাজগঞ্জের সলঙ্গায় ধুবিল ইউনিয়নের ইউনিয়ন ভূৃমি কর্মকতার প্রত্যক্ষ মদদে পুকুর খননের মহাউৎসব –
এক ইউনিয়নেই ছোট বড় প্রায় ৩০ টার মত ফসলি জমি কেটে পুকুর খনন করে মাটি বিক্রি করছে মাটি ব্যবসায়ীরা –
ছাত্রলীগ থেকে শুরু করে স্থানীয় প্রভাবশালী সিন্ডিকেটের কাছে জিম্মি সাধারণ কৃষক ও স্থানীয় সচেতন মহল।
মাঝে মাঝে ইউনিয়ন ভূমি অফিস ও থানা থেকে লোক গিয়ে ভেকু মেশিনের চাবি নিয়ে গেলেও – শেষমেষ মোটা অংকের টাকায় আবার চাবি চলে আসে গাড়িতে।
দিনভর কোন সারাশব্দ না থাকলেও রাতভর সক্রিয় হয়ে ওঠে আঞ্চলিক সড়ক ও মাটির পয়েন্টগুলো।
সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, ধুপিল ইউনিয়নের মালতীনগর এলাকায় ইয়াসিন সাইফুল আলী তার বাড়ির পাশেই প্রায় ১০ বিঘা আয়তনের পুকুরে ভেকু মেশিন ও কুত্তা গাড়ি দিয়ে মাটি কেটে বিভিন্ন ইঠ ভাটায় বিক্রি করছে।
এছারা একই এলাকায় ছোট বড় সব মিলিয়ে প্রায় ২০ টির ও বেশি পুকুর খনন চলছে। এসব পুকুর কাটা হয় গভীর রাতে দিনের বেলায় পাওয়া যায় না কাউ কেই৷ । শুধু পাওয়া যায় রাতভর মাটি কাটার চিহৃ। ভেকু মেশিন পাওয়া যায় পুকুরে পারের বাড়িতে ।
এছাড়া ঝাউল এলাকায় ছাত্রলীগ নেতা রিপনের ৫ বিঘা আয়তনের পুকুর খনন চলেছে।
আলামিন নামের একজনের প্রায় ২০ বিঘা সহ ছোট বড় প্রায় ১৫ টির মত পুকুর খনন চলছে।
হায়দার আলীর ছোট বড় প্রায় ৫ টি মত।
স্থানীয়রা জানান, পুকুর খননের কারনে আঞ্চলিক সড়কগুলোর নাজেহাল অবস্থা মাজে মাঝে ভূমি অফিসের নায়েবের লোকজন ভেকু মেশিনের চাবি নিয়ে গেলেও থামেনা পুকুর খনন। মোটা পেটির বিনিময়ে আবার চাবি চলে আসে গাড়িতে। থানা থেকেও মাজে মাঝে মাঝে চাবি নিয়ে গেলেও একই অবস্থা।
যারা পুকুর খনন করে তারা প্রভাবশালী হওয়ায় থামেছেই না পুকুর খননের কাজ।
সেই সাথে স্তানীয় সচেতন মহল অবৈধ পুকুর খনন বন্ধে প্রসাশনের জোরালো ভূমিকা রাখারও দাবি জানান।
পুকুর খননের বিষয়ে ছাত্রলীগ নেতা রিপন মুঠোফোনে যোগাযোগ করা হলে তিনি জানান, সবাই যে ভাবে কাটে আমিও সেই ভাবেই কাটছি, একসময় এসে দেখা করেবেন ।
সাইফুল ইসলাম জানান, আমি ঘোড়া মার্কার চেয়ারম্যান আমি পুকুর খনন করছি আপনেরা পত্রিকায় আমার ছবি দিয়েন নিউজ কইরেন।
এ বিষয়ে জানতে, ধুবিল ইউনিয়নের চেয়ারম্যান মিজানুর রহমান রাসেল তালুকদারের মুঠোফোনে একাধিকবার ফোন দিলেও তিনি ফোন রিসিভ করেন নাই।
এ ব্যাপারে ধুবিল ইউনিয়নের নায়েব মুনসূর আলী জানান, আমরা খবর পেলে চাবি নিয়ে উপজেলায় জমা দেয়, কেউ যদি চাবি নিয়ে দেওয়ার কথা বলে সেটা মিথ্যা, কোথাও কোন অভিযোগ থাকলে বলেন, আমি লোক পাঠিয়ে ব্যবস্থা নিচ্ছি।
রায়গঞ্জ উপজেলার এসিল্যান্ড তানজিল পারভেজের ফোনে একাধিকবার যোগাযোগ করার চেষ্টা করা হলে তিনিও ফোন রিসিভ করেন নাই।
রায়গঞ্জ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা নাহিদ হাসান খান জানান, এভাবে ঐ এলাকায় পুকুর খনন হচ্ছে বিষয়টি জানতাম না – অবশ্যই তাদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে সেই সাথে ভূমি অফিসের কেউ সম্পৃক্ত থাকলে তাদের বিরুদ্ধেও ব্যবস্থা গ্রহন করব।
এভাবেই কি চলবে ফসলি জমির টপসয়েল কাটা ও মাটি ব্যবসায়িদের দৌড়াত্ব?
লাগাম টানবে কি কেউ?
নাকি মোটা পেটির গন্ধে নিশ্চুপ হয়ে থাকবে সংশ্লিষ্ট প্রসাশন।